ইয়াসমিন লিপি »

কাঁঠালের বিচির উপকারিতা অনেক। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম বিচি থেকে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট ৩৮.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৬ গ্রাম, ফাইবার ১.৫ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.০৫ থেকে ০.৫৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.১৩ থেকে ০.২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৪.০৭ মিলিগ্রাম রয়েছে।

কাঁঠালের বিচি ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। এ ছাড়া আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, থায়ামিন, নায়াসিন, লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন এবং স্যাপোনিনের মতো ফাইটো ক্যামিক্যালস। কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্যানসার প্রতিরোধী এবং বার্ধক্যের প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আয়ুুর্বেদিক গুণ : কাঁঠালের বিচি বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যৌনশক্তি বাড়িয়ে তোলে। ধারণা করা হয়, কাঁঠালের বিচি টেনশন ও নার্ভাসনেস কাটাতে উপকারী। আমাদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কাঁঠালের বিচি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। সংরক্ষণযোগ্য বলে সারা বছরই এ পুষ্টি গ্রহণ করা যায়। তাই কাঁঠাল খাওয়ার পর বিচিগুলো সংরক্ষণ এবং পুষ্টিমান গ্রহণ করুন।

লেখক : ডা. আলমগীর মতি, বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক। ০১৯১১৩৮৬৬১৭

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »