লিবিয়ার ঘটনায় হতাহত ৩৮ বাংলাদেশির মধ্য ৩৫ জনের পরিচয় মিলেছে। ত্রিপলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস নিহত ২৬ জনের মধ্য ২৩ জনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। তবে তারা এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে ঢাকায় রিপোর্ট পাঠিয়েছে। রিপোর্ট মতে, পৈশাচিক-বর্বরোচিত ওই ঘটনায় গুরুতর আহত ১১ বাংলাদেশি এবং ঘটনার সূচনাতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়া এক বাংলাদেশির বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে যুদ্ধকবলিত ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। বৃহস্পতিবার অস্ত্রধারী
মানবপাচারকারী চক্রের হাতে জিম্মা অবস্থায় তাদের সহযোগী মিলিশিয়াদের অাক্রমণ ও এলোপাতাড়ি গুলিতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০বিদেশি ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হহন ১১ জন। একজন তাতক্ষনিকভাবে পালিয়ে প্রথমে একটি ফার্মাসিতে এবং পরে একজন লিবিয়ানের আশ্রয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন। মূলত পালাতে সক্ষম হওয়া ওই বাংলাদেশিই দূতাবাসে টেলিফোন করে ঘটনাটটি জানান।
তিনি এখনও ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কোথাও আত্মগোপনে আছেন। রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী মানবজমিনকে বলেছেন, ওই ব্যক্তি নিরাপদে আছেন এবং মিশন তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
নিহত ২৩ জনের পরিচয় ঢাকায় পাঠানো দূতাবাসের রিপোর্ট মতে, নিহত ২৩ জনের মধ্যে মাদারীপুরের ১১ জন, কিশোরগঞ্জের ৭ জন, গোপালগঞ্জের ২ জন, যশোরের ১ জন, মাগুরার ১ জন এবং ঢাকার ১ জন বাসিন্দা রয়েছেন। বাকী ৩ জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশ মিশন।
আহত ১১ এবং আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকা একমাত্র বাংলাদেশির বিস্তারিত-
দূতাবাসের রিপোর্ট মতে, বেঁচে যাওয়া মোট ১২ জনের মধ্যে ৪ জন মাদারীপুরের। তাছাড়া কিশোরগঞ্জের ৩ জন, চুয়াডাঙ্গার ২ জন, ফরিদপুরের ১ জন, গোপালগঞ্জের ১ জন এবং মাগুরার ১ জন বাসিন্দা রয়েছেন।