বার্তাবাংলা ডেস্ক »

১০০ বছর বয়সী বৃটিশ বাংলাদেশি দবির চাচা’র হাঁটার মাধ্যমে ফান্ড রেইজিং কর্মসূচি ২০৬ হাজার পাউন্ড পেরিয়েছে! যা বাংলাদেশী টাকায় ২ কোটিরও বেশী। আজকে পর্যন্ত মোট ২৬ দিনে ১০ হাজারের বেশী মানুষের ডোনেশন এসেছে দবিরুল হক চৌধুরীর ফান্ড রেইজিং পেইজে , যিনি বিশ্ব ও বৃটিশ মূলধারার কারণে এখন দবির চাচা নামে সর্ব মহলে শুধু পরিচিতি নন, রীতিমতো অনুপ্রেরণা। আজকে সকালেই ডেভিড ডেভিস নামে একজন ব্রিটিশ ১০ পাউন্ড ডোনেশন দিয়ে লিখেছেন, ‘আরেকজন ভদ্রলোক যিনি আমাদের অনুপ্রেরনা’!

দবির চাচাকে নিয়ে টুইট করেছেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান, ব্রিটেনের প্রধান রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের অফিসিয়াল ফেসবুকে দবির চাচার ভিডিও দিয়ে তারা লিখেছে আমাদের অনুপ্রেরণা এবং উদাহরণ।

উদ্যোগটা নিয়েছিলেন শতবর্ষী ব্রিটিশ কর্নেল টমকে দেখে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীর সেনানী তিনি। করোনার দুর্যোগকালে যিনি ২৯মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) ফান্ডে জমা দিয়েছেন।
বৃটিশ বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেল এস রামাদান ফ্যামেলি কমিটম্যান্ট (আরএফসি)-এর ২৬টি আপিলের জন্য রোজা রেখেই পুরো গার্ডেনের একপাশ থেকে অন্য পাশে হাঁটার যাত্রা শুরু করেন ২৬ এপ্রিল রবিবার। মাত্র ১ হাজার পাউন্ডের টার্গেট নিয়ে তার সূচনা হলেও ডোনারদের ব্যাপক সারায় তিনি হাঁটা আর বন্ধ করেননি। পুরো রমজান মাসেই হাঁটার ব্যাপারে তিনি অনড় থাকেন।

দবির চৌধুরী এখনো প্রতিদিন হাঁটছেন। তিনি হৃদয়বান দাতাদের বলছেন, আমি হাঁটতেই থাকবো, প্রয়োজনে ১০০ বারেরও বেশি। এটা আমার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো, আর বিনিময়ে সবাই যেভাবে ১০/২০/৫০ কিংবা ১০০ পাউন্ড করে দান করে আমার ক্যাম্পেইনকে শক্তিশালী করছেন তা আমাকে এই বয়সে দারুণ আনন্দ দিচ্ছে।

কোনো অসুস্থতা ও রোগ বালাই নেই তার। শক্ত শারীরিক গঠন। আর তাই চ্যারিটির মাধ্যমে করোনায় বিপর্যস্ত মানবতার পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। ফান্ড রেইজিং-এ সবার দৃষ্টি কাড়তেই তার এই হাঁটাহাঁটি।

চাকরি, ব্যবসা ও সমাজসেবা সবকিছুতেই অগ্রসর ছিলেন দবির চৌধুরী। সব সময়ই সাহসী ও উদ্যোমি। ৬০-এর দশকে নিজে গাড়ি চালিয়ে লন্ডন থেকে সিলেট যান, তরুণ বয়সে সিলেটের এমসি কলেজে ভর্তি হতে নিজ গ্রাম দিরাই থেকে আসেন ঘোড়ায় চড়ে। দেখেছেন চার প্রজন্ম-বৃটিশ ভারত, পাকিস্তান আমল, বাংলাদেশ এবং আবারও বৃটিশ।

তিনি জানালেন, জীবনে কত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু করোনার মতো অজানা বিপদ দেখেননি কখনো।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে গাড়ি চালিয়ে অন্যান্য নেতাদের নিয়ে ৭১ সালে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পেইনের জন্য এখানে ওখানে ছুটে বেড়িয়েছি। আজ করোনাভাইরাসের এই যুদ্ধে আবারও মাঠে আছি, পাশে চাই আপনাদের।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »