মো. মুস্তাফিজুর রহমান »

বর্তমান বিশ্বে এখন সবচেয়ে অলোচিত একটি শব্দ কোভিড-১৯ বা নোভেল করোনা ভাইরাস। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, যেন মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম। অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে এই নোভেল করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি সুদূর চীন দেশের উহানে হলেও ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন মহাদেশকে কাবু করে এখন আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে তার করাল থাবা বসিয়েছে।

আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০,০৬৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৯৮ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এসব রোগীর হাসপাতালে সামনের সাড়িতে থেকে সেবা দিচ্ছেন সম্মানিত চিকিতসকবৃন্দ এবং সাস্থ্যকর্মীরা।

আর হাসপাতালের বাইরে বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করে হোম কোয়ারেন্টিন করা, তারপর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরে শনাক্তকৃত করোনা রোগীদের কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশন ও চিকিৎসায় সহায়তা করা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অত্মীয়-স্বজন কর্তৃক ফেলে যাওয়া রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, এমনকি করোনায় মৃত ব্যাক্তির জানাজার ব্যবস্থা করাতো অলিখিতভাবে পুলিশের দায়িত্বই হয়ে গেছে।

করোনা মোকাবেলায় সামনের সাঁড়িতে থেকে স্বাভাবিক পুলিশিংয়ের পাশাপাশি এসব কাজ করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০ (দুই হাজার) পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন, শাহাদত বরণও করেছেন বেশ কয়েকজন (মহান আল্লাহতায়ালা তাদের জান্নাতবাসি করুন)।

নোভেল করোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সাবেক এবং বর্তমান আইজিপি স্যারের নির্দেশনায় মাঠপর্যায়ে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য বাংলাদেশের মানুষের সকল ধরণের সেবা দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন সময়ে পুলিশের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, যা পুলিশের মনোবলকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাঁর বিচক্ষণতা দিয়ে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, জয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ।

বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যই তাদের পরিবার থেকে দূরে অবস্থান করেন। প্রায় দু’মাস ধরে সকল ধরনের ছুটি বন্ধ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় পুলিশ সদস্যদের একেবারে সামনের সারিতে থেকে কাজ করতে হচ্ছে। মজার ব্যাপার হলো এত কাজ, ছুটি নেই, প্রতিদিন এত এত সহকর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন তারপরও এখন পর্যন্ত কোনো পুলিশ সদস্যেকে আমি কোনো ধরনের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখি নি।

কেন জানি সকল সদস্যই পুলিশের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি এই আনইউজুয়াল কাজটিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে অতি আনন্দের সাথে করে যাচ্ছে। ঠিক যেমনিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘৭১-এর ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরেই ঝাপিয়ে পড়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে।

বর্তমান এই করোনা মহামারির সময় মানুষও যেন সবকিছুতেই আমাদের কাছে ছুটে আসছেন, এমনকি পুলিশেরে এখতিয়ারের নয় এমন বিষয়েও। আমাদের সীমাবদ্ধতার কথা জানালে তারা জবাব দেন ওই অফিস তো খোলা নেই, তারা কী করবেন? প্রতিবেশী কারও সর্দি-কাঁশির সংবাদ পেলেও নিজে একবার দেখতে না গিয়ে আমাদের সংবাদ দেন।

সর্দি-কাশির রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, গ্রামের কোনো ভ্যান/অটোরিক্সা হাসপাতালে নিতে রাজি হচ্ছে না তখনও আস্থা পুলিশেই। যার পাশে যখন কেউ নেই তখন তার পাশে পুলিশ অবশ্যই আছে। কীভাবে যেন মানুয়ের শেষ এবং শতভাগ আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এটা কীভাবে সম্ভব হল?

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তো আর নতুন করে আলাদা পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। সেই আগের পুলিশই তো এখনও কাজ করছে। আমি মনে করি এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সকলের মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে। আর সে পরিবর্তন হয়েছে সেবাদাতা এবং সেবাগ্রহিতা উভয়েরই মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে।

আমরা পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অতিরিক্ত যে কাজগুলো করছি, তা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কোনো ধরনের অশ্বস্তি নেই বা জোর করেও কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় নি। যেমন কোনো করোনা রোগী হ্যান্ডেলিং বা করোনায় মৃতের দাফনের কাজে  কোনো পুলিশকে জোর করে পাঠাতে হয় না, বরং চাহিদার চেয়ে জনবল সবসময় বেশিই পাওয়া যায়।

মহান সৃষ্টিকর্তাই বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে এই শক্তি নিজের হাতে প্রদান করেছেন, না হলে প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে অপ্রতুল নিরাপত্তা কিট্স এবং করোনা রোগী হ্যান্ডেলিং-এর কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই আমরা কোন ওজর আপত্তি ব্যতিরেকেই ঝাপিয়ে পড়েছি এই করোনাযুদ্ধে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ পুলিশের কোন সদস্যের মনেই একবারের জন্যও মনে হয় নাই, এটা নাই-সেটা নাই, আমি কেন কাজে যাব, কিংবা এটা-ওটা না দেওয়া হলে আমরা কাজে যাব কেন?

আমরা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য মনে করি শুধু করোনা সংক্রমণ কেন, জাতির যে-কোন দুর্যোগে বা প্রয়োজনে কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই মানুয়ের পাশে থাকব, আর এটাই স্বাভাবিক। আমার তো এটাই কাজ, আমি প্রজাতন্ত্রেই কর্মচারি, আর আমার প্রধান এবং একমাত্র কাজ হল প্রজাতন্ত্রের মানুষকে সেবা দেওয়া এবং সেটা অবশ্যই কোনরুপ শর্ত ব্যতিরেকে।

আমি লোক প্রশাসনের ছাত্র। লোকপ্রশানে খুব সহজভাবেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, “A proud public servant is defined as someone who works honorably, conscientiously, and with dedication.”

আমরা বোধহয় বলতেই পারি, বাংলাদেশ পুলিশ এই করোনা সংক্রমণের সময় নিজেদের কাজের দ্বারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারির উল্লিখিত সংজ্ঞাকে পরিপূর্ণতা দিতে পেরেছে।

এবার আসি নিজের কথায়। আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। বর্তমানে থানা কোয়ার্টারে আমি রুম আইসোলেশানে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছি। গত ৫ মে অতি সামান্য উপসর্গ অনুভব করায় একজন সহকর্মীসহ কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করি। ৭ মে তারিখ সকালে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলীম আল রাজী সাহেব যখন ফোনে আমাকে জানালেন আমার করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ তখন মানসিকভাবে বিরাট একটি ধাক্কা খেলেও ভেঙে পরি নি একবারের জন্যও, কিংবা মনোবল এতটুকু পরিমাণ কমে নি।

তাৎক্ষণিকভাবে মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম স্যারসহ জেলার সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সকল সহকর্মীরা যেভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আরও বড় কোনো অসুখেও প্রাথমিক ধাক্কা খুব সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

প্রথম ২-৩ ঘণ্টা ঘোরের মধ্যে কাটলেও আমার অসুস্থতার কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোপালপুর তথা টাঙ্গাইল এবং আমার নিজ এলাকার মানুষসহ পুলিশ বিভাগের সকল সহকর্মী, গোপালপুরের UHFPO মহোদয়সহ অন্যান্য বিভাগের সকল সহকর্মীবৃন্দ, টাঙ্গাইলের সকল সংবাদকর্মী, পরিচিত বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র, জুনিয়র এবং আত্মীয়-স্বজন আমার প্রতি ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন তা আমাকে সুস্থ হওয়ার টনিক দিচ্ছে। টাঙ্গাইলের শ্রদ্ধেয় পুলিশ সুপার স্যার যেভাবে বাসায় প্রয়োজনীয় মেডিকেল ইকুইম্পমেন্ট এবং ওষুধের  সাপোর্ট দিয়েছেন তা আমার জন্য এক বিরাট প্রাপ্তি।

একবারের জন্যও মনে হয় নি স্বাস্থ্যগত কোনো জটিলতা দেখা দিলে আমার চিকিৎসার কোনো ঘাটতি থাকবে। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি যদি মনোবল যোগান তাহলে একজন সৈনিকের জন্য যুদ্ধ করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। থানা কম্পাউন্ডে আমাদের অবিভাবক গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমির খসরু স্যার লকডাউনে থাকা একটি পরিবারের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য যা প্রয়োজন তার থেকে অনেক বেশিই করেছেন।

করোনাক্রান্ত হওয়ার পরও থানার সকল সহকর্মীদের নিকট থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তার ঋণ আমি কোনোদিনই শোধ করতে পারব না। একইসাথে বাংলাদেশ পুলিশের আইকন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) স্যারও ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন, যা আমার মনোবলকে আরও চাঙ্গা করে তুলেছে।

আমার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসার প্রথম দিন থেকেই যে মানুষটি প্রতিদিন অন্তত একবার আমার খোঁজ নেন তিনি হলেন করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই সবসময় গোপালপুর-ভুয়াপুরের মানুষের পাশে থাকা মানুষটি, টাঙ্গাইল-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব ছোট মনির।

শেষপর্যন্ত গত ১৪ মে বিকেলে তিনি থানায় এসেছিলেন নিজ চোখে একবার আমাকে দেখার জন্য। বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে তার এই নিখাঁদ ভালোবাসা গ্রহণ করাটাও আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। আসলে এতসব ভালো মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসা পেলে যে-কোন কঠিনতম পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায় খুব সহজেই।

একজন করোনা পজিটিভ রোগীকে বাসায় একটি রুমে আইসোলেশনে রেখে তার মহামূল্যবান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল ধরনের সেবাযত্ন করতে যে মানুষটি সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছেন, তিনি আমার প্রিয়তমা সহধর্মিণী।

আমার জন্য স্বাভাবিক সেবার পাশাপাশি ঘরোয়া টোটকা চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা তিনি নিজ হাতেই করছেন, আমার কাছ থেকে শেখা সামান্য নিরাপত্তা জ্ঞান নিয়ে। একই সাথে তাকে আরও সামলাতে হচ্ছে আমার ছোট দুটি সন্তানকেও। আল্লাহর কাছে দোয়া করি সে যেন সারাজীবন সুস্থ থাকে আমাদেরকে এভাবেই আগলে রাখার জন্য।

১৪ মে বিকেলের একটি ঘটনা দিয়ে লেখাটা শেষ করব। ওইদিন সহকর্মী এসআই সোহাগ আমাকে ফোনে জানান এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন এবং তিনি তার বাড়ির কিছু জিনিস আমার জন্য নিয়ে এসেছেন।

সোহাগ বিভিন্নভাবে বুঝিয়েও যখন ভদ্রমহিলাকে বোঝাতে সক্ষম হয় নি। বাধ্য হয়ে আমাকে ফোন দিযেছে। ভদ্রমহিলা দূর থেকে হলেও আমাকে একবার দেখবেন, তারপর চলে যাবেন। বাধ্য হয়েই একবার বাসার বারান্দার দাঁড়িয়ে তাঁকে দেখা দিতে হলো এবং তার আনা জিনিসপত্রগুলোও গ্রহণ করতে হলো।

বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা, ভদ্রমহিলার স্বামী তাঁর সাথে থাকেন না এবং তার ছেলেও তার কথা শুনেন না… এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে একদিন তাঁর ছেলেকে ডেকে আমি একটু বুঝিয়েছিলাম এবং তার পর থেকে তাঁর ছেলে ভদ্রমহিলার কথা শোনেন। উপকার বলতে এটুকুই। লোকমুখে আমার অসুস্থতার কথা শুনেই আমাকে একবার দেখার জন্য থানায় ছুটে এসেছেন। কিন্ত এতটুকু কাজেই ভদ্রমহিলা যে আমাকে এভাবে মনে রাখবেন, তা আমার কল্পনাতেও আসে নি কোনদিন।

তবে এটাই প্রাপ্তি এবং এটা করতে পেরেছি শুধুমাত্র পুলিশে চাকরি করার সুবাদে। আজ সত্যিই আমি গর্বিত বাংলাদেশের মানুষের সর্বোচ্চ আস্থার জায়গায় থাকা বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হতে পেরে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলদেশ পুলিশের স্লোগান হলো “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”।

আমি মনে করি, এই স্লোগানের মর্মার্থ অনুধাবন করে বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যে জনতার পুলিশ হতে সক্ষম হয়েছে। আলো একদিন আসবেই, অবশ্যই আমাদের দেশ করোনামুক্ত হবে এবং আমরা আমাদের কাজের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে জনতার পুলিশ হয়েই আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি সবার দোয়ার বদৌলতে যেন এ যাত্রায় সুস্থ হয়ে আবার মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারি।

সবশেষে আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকুন, নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। পুলিশ সদস্যরা বাহিরে আছেন আপনাদের নিরাপত্তার জন্য।

লেখক : মো. মুস্তাফিজুর রহমান
অফিসার ইনচার্জ
গোপালপুর থানা, টাঙ্গাইল।

 

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »