বার্তাবাংলা ডেস্ক »

“করোনা ভাইরাস” নিঃসন্দেহে এ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্যোগের নাম। সামান্য কয়েক ন্যানোমিটারের অতি ক্ষুদ্র আলোক আণুবিক্ষণিক জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী এক প্রকরণ আজ গোটা বিশ্ব দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান কিংবা প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা যতোই অগ্রগতির দাবি করি না কেনও ক্ষুদ্র এক ভাইরাস আজ প্রমাণ করেছে তামাম দুনিয়ায় মানুষ আজও কতোটা অসহায়।
চীনের ইউহান থেকে আরম্ভ করে গোটা পৃথিবীর ২০৫ টি দেশ আজ করোনার ভয়াল থাবায় পর্যদুস্ত। প্রতিদিন এ পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ এ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছেন। ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণ।
পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ৩৫,৯১৯ বর্গমাইলের ছোটো একটি রাষ্ট্রের  নাম হাঙ্গেরি। চারদিকে স্থল বেষ্টিত এক কোটির কাছাকাছি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ রাষ্ট্রটিও রক্ষা পায় নি করোনার প্রলয়ঙ্করী ছোবল থেকে। সম্প্রতি দেশটিতে বসবাসরত এক প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। “হাঙ্গেরি” এ দেশটি  আমাদের দেশে ইউরোপের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া এ সকল দেশের মতো বিশেষ গুরুত্ব বহন না করায় অনেক ক্ষেত্রেই দেশটির অনেক খবর আমাদের মাঝে চাপা পড়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ করোনা ভাইরাসে সাথে যুদ্ধ করে সুস্থ্য হয়ে বিজয়ীর বেশে তিনি আমাদের মাঝে আবার ফিরেও এসেছেন। আজ আমরা জানবো দুঃসাহসিক এ অভিযাত্রায় তার অভিজ্ঞতার কথা।
আজকের এ যাত্রার নায়ক হচ্ছেন শামছুল ইসলাম সিপার যিনি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে স্টাইপেনডিয়াম হাঙ্গেরিকাম নামক শিক্ষাবৃত্তির অধীনে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের সন্নিকটে  অবস্থিত গোডোলো নামক মফস্বল এরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট ইটজভান ইউনিভার্সিটিতে অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ওপর ব্যাচেলর অব সায়েন্স সম্পন্ন করছেন।
সংক্রমণের শুরুটা কীভাবে হয়েছিলো? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি আমাদেরকে জানান যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় অন্যান্য সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। প্রথম দিকে সারা শরীরে ব্যাথা অনুভূত হতে থাকে, একটানা বেশ কয়েক দিন্ এ উপসর্গ থাকার পর ধীরে ধীরে গলাব্যথা শুরু হয়। এ পর্যায়ে তাঁর শরীরে হাল্কা জ্বরও অনুভূত হয় বলে তিনি জানান। শুরুতে স্থানীয় হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টিকে গুরত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেন নি। তাঁদের ধারণা ছিলো ঋতু পরিবর্তনের কারণে হয়তো বা তিনি সাধারণ কোনও ফ্লু ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। তবে কয়েক দিনের মাথায় আনুমানিক সাত থেকে দশ দিন্ পর পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকে। ডায়ারিয়াসহ জ্বর এবং শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় তখন তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতাল সান্টামেদ ক্লিনিকাতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তিনি যাতে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারেন সে জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়। এ পর্যায়ে ডাক্তারেরা তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ এর টেস্ট করেন এবং তাঁর শরীরে নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ খুব একটা মারাত্মক পর্যায়ে না থাকায় তাকে সরাসরি নিজ বাসায় সেলফ আইসোলেশন থাকার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।
কীভাবে তাঁর শরীরে এ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে? এ প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে শামছুলের উত্তর ছিলো তার রুমমেটের মাধ্যমে তার শরীরে প্রাণঘাতী এ করোনা ভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঘটে। তার রুমমেট অনেক বেশি ভ্রমণপ্রিয় এবং প্রায়শ তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে ভালোবসেন। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে যখন সমগ্র ইউরোপকে জরুরি অবস্থার মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঠিক তার কিছুদিন পূর্বে শামছুলের  রুমমেট জার্মানি এবং সুইজ্যারল্যান্ড ভ্রমণ করে এসেছিলেন এবং তিনিও করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন যদিও তার এ সংক্রমণ একেবারে সাধারণ পর্যায়ে ছিলো।
কেমন যাচ্ছিলো সেলফ আইসোলেশনে থাকা দিনগুলো? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যে প্রবাস জীবন হচ্ছে এমন একটি জীবন যে জীবনটি পাড়ি দিতে হয় বাবা-মা কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য ছাড়া সম্পূর্ণ একাকীভাবে;সে রকম একটি জীবনে সাধারণ জ্বরই হয়ে উঠে অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ। সেখানে এরকম একটি অবস্থায় করোনা ভাইরাসের মতো একটি শারীরিক জটিলতা যেনও মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। এক গ্লাস পানিও এগিয়ে দেওয়ার মতো কেউ নেই এ রকম একটি নিঃসঙ্গ জীবনে। তিনি যেহেতু ডরমেটরিতে বসবাস করতেন এবং ডরমিটরি বলতে গেলে একটি পাবলিক প্লেস যেখানে আসলে সে অর্থে আইসোলেশনের সুযোগ খুবই কম, তাই প্রথম দিকে যখন তাঁর শরীরে এ করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হন তার মাঝে দুশ্চিন্তা কাজ করছিলো যে আদৌতে কতোটুকু তিনি সেলফ আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পারবেন। পরে অবশ্য তার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে আটটি ডরমিটরির মধ্যে দুইটিকে সম্পূর্ণ লক করে দেওয়া হয়। যেহেতু হাঙ্গেরির সরকার করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য সম্পূর্ণ হাঙ্গেরিকে জরুরি অবস্থার মধ্যে নিয়ে আসে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাই হাঙ্গেরির স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আগের থেকেই তাঁদের বাসায় ফিরে যাওয়ায় এবং একই সাথে ইরাসমাস প্লাসসহ বিভিন্ন একচেঞ্জ স্টাডি প্রোগ্রামে আসা অনেক শিক্ষার্থীরাও তাঁদের নিজের দেশে চলে যাওয়ায় তাঁর ডরমিটরিতে যে সকল আসন ফাঁকা হয়ে গিয়েছিলো সেগুলোতে সাময়িক সময়ের জন্য অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পূর্ণবিন্যাস করা হয়েছিলও। রুমের মধ্যেই নিজস্ব ওয়াশ রুম এবং নিজস্ব রান্নাঘরের ব্যবস্থা থাকায় পরবর্তীতে তাকে আর কোনও বেগ পেতে হয় নি এ সেলফ আইসোলেশন পালন করার ক্ষেত্রে।
কীভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠেছিলেন এ প্রশ্নের পাশাপাশি করোনাময় দিনগুলোতে সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান যে করোনার দিনগুলোতে তিনটি জিনিস তাঁকে সবচেয়ে বেশী মাত্রায় ভুগিয়েছে। প্রথমতঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট ডায়ারিয়া যেটি আসলে কোনও ধরণের ঔষধ দ্বারা সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। জ্বর কিংবা কাশি অথবা শরীরের কোনও অংশে ব্যাথা অনুভূত হলে প্যারাসিটামল কিংবা অ্যাসপিরিন অথবা পেন কিলার বা কাশির ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এ সকল উপসর্গ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া গেলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে কোনও ধরণের ঔষধ কাজ করে না। পাশাপাশি গলা ব্যাথা যার কারণে যে কোনও খাবার গ্রহণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শ্বাস গ্রহণে সমস্যা, যখন নিঃশ্বাস নেওয়া হতো তখন তিনি অনুভব করতেন যে তাঁর বুকের ভেতর কোনও একটি অংশ পুড়ে যাচ্ছে। তবে করোনা ভাইরাস পজিটিভ প্রমাণ হওয়ার পর দশ থেকে এগারো দিনের মাথায় হঠাৎ  তিনি লক্ষ্য করেন যে রাতারাতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সমস্ত উপসর্গ বিলীন হয়ে গিয়েছে। মূলত এ ভাইরাসের লাইফ সাইকেল দশ থেকে চৌদ্দ দিন এবং এ সময়ে কোনও ব্যক্তির শরীরের ইমিউন সিস্টেম যদি আশানুরূপ মাত্রায় থাকে তাহলে কোনও ধরণের কোনও সেকেন্ডারি সমস্যা (অনেকের ক্ষেত্রে যেমন নিউমোনিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়) আক্রান্ত হওয়ার ব্যতিরেকে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। পজিটিভ ধরা পড়ার পর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আরও একবার টেস্ট করে নিশ্চিত করা হয় যে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন কি না।
যখন তাঁকে সেলফ আইসোলেশনে পাঠানো হয় সাথে সাথে তিনি ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামসহ সকল ধরণের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, বিভিন্ন ধরণের ফোন কলসহ অথবা গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন সকল কিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হন। এভাবে না কি তিনি ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে সরে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। খুব বেশী প্রয়োজন না হলে তিনি কারও সাথে যোগাযোগ করতেন না এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত ও বিভিন্ন ধর্মীয় ইবাদাতের মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ রাখার মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতেন। এছাড়াও এ সময়ে তিনি কী ধরণের খাবার গ্রহণ করেছেন বলে জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তর দেন্ গলাব্যথার কারণে তিনি যেহেতু খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা অনুভব করতেন তাই তিনি চেষ্টা করতেন যতোটা সম্ভব নরম জাতীয় খাবার যেমনঃ একেবারে নরম ভাত, সুজি, সাবুদানা ইত্যাদি গ্রহণ করতে।
বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি ও ফলমূল এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, ভিনেগার, দুধ এ জাতীয় জিনিসগুলো তাঁর খাবারের তালিকায় বিশেষভাবে স্থান লাভ করতো। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্রায় সকল ধরণের খাবার তিনি গরম থাকা অবস্থায় গ্রহণের চেষ্টা করতেন। এ কারণে ফলে মাঝে মধ্যে গলায় এক ধরণের ক্ষতের অনুভূত হতো বলে জানিয়েছেন। ভিটামিন সি ও ভিনেগার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তাই এ জাতীয় সময়ে তিনি বেশী করে ভিনেগার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তাঁর থেকে পরামর্শ চাওয়া হলে সবার প্রথমে তিনি যে জিনিসটি উল্লেখ করেন তা হলো আমাদের সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস করতে হবে। অর্থাৎ কোনও নির্দিষ্ট পাবলিক প্লেসে পাশাপাশি অবস্থানের ক্ষেত্রে নূন্যতম দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যেহেতু কোভিড-১৯ এর কার্যকরি চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি এবং তিনি নিজেও যখন বিভিন্ন সময় চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করছিলেন প্রত্যেকবারই তাদের পক্ষ থেকে এ একই উত্তর আসছিলো, তাই শামছুলের মতে পরিস্থিতি যতোদিন না নিয়ন্ত্রণে আসে ততোদিন পর্যন্ত একমাত্র ভ্যাকসিন হচ্ছে যতোটা সম্ভব গৃহে অবস্থান করা এবং খুব বেশী প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বাহিরে বের না হওয়া। এছাড়াও প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, পেন কিলার এ জাতীয় ওষুধগুলো তিনি সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে হাতের কাছে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যদি কারও শ্বাসজনিত কোনও সমস্যা থাকে তাহলে তাঁর সাথে সব সময় নেবুলাইজার রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধির সাধারণ যে নিয়ম রয়েছে যেমন নিয়মিত সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ইত্যাদি। করোনা ভাইরাসটি বায়ুবাহিত মাধ্যমে বেশি ছড়ায় বিশেষ করে হাঁচি কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস অতি দ্রুত বিস্তার লাভ করে। তাই তিনি এ ধরণের পরিস্থিতিতে বাসা থেকে বাহিরে বের হওয়ার সময় সবাইকে মুখে মাস্ক পরিধান করার পাশাপাশি হাতে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
সর্বোপরি যে জিনিসটি তিনি বারবার বলে গিয়েছেন এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছেন যে বিষয়টির ওপর যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠার জন্য মানসিক দৃঢ়তার কোনও বিকল্প নেই। একমাত্র আত্মবিশ্বাস, মানসিক প্রফুল্লতা এবং দৃঢ় মানসিক চালিকা শক্তিই পারে কোনও একজন মানুষকে নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ্য করে তুলতে।
কথোপকথনের সবশেষ পর্যায়ে এসে তিনি এ ধরণের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের কোনও দূতাবাস না থাকায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস যে কোনও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে হাঙ্গেরিতে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা করে থাকে। ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির সম্মানিত কাউন্সিলর রাহাত বিন জামানের কথা বারবার তিনি স্মরণ করেছেন, কেননা এ পরিস্থিতিতে তিনি প্রত্যেক দিন্ শামছুলের সাথে যোগাযোগ করতেন এবং তাকে বিভিন্নভাবে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যাতে ইতালি, স্পেন কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো এপিডেমিক আকারে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি না ঘটে সেজন্য তিনি আমাদের সকলকে সচেতনতার পাশাশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক সাথে কাজ করার জন্য বিনীত আহবান জানিয়েছেন।
রাকিব হাসান,
শিক্ষার্থী,
দ্বিতীয় বর্ষ,
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ফিজিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স,
ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা,
স্লোভেনিয়া!
শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »