এপ্রিল মাস। ইউরোপে বলতে গেলে বসন্ত এসেই গিয়েছে। কয়েক দিন্ আগেও রাস্তার ধারে নির্জীব আর প্রাণহীনভাবে যে সকল গাছ পড়েছিলো এপ্রিল আসতে না আসতে একেবারে অবিশ্বাস্যভাবে গাছগুলো ভরে উঠেছে সবুজ কচি পাতায়। পত্রপল্লব ভরে উঠছে নতুন ফুলে।
কেউ বিশ্বাস করবে না কয়েক দিন আগেই প্রকৃতির প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া ছিলো দুষ্কর; এপ্রিল আসতে না আসতেই প্রকৃতি যেনও একেবারে নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
প্রত্যেক বছর এ সময় অর্থাৎ বসন্তের আগমনী মুহূর্তে ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোতে ইস্টার উৎসব আয়োজিত হয়। ক্যাথলিক চার্চে বিশ্বাসী মানুষদের কাছে খ্রিস্টমাসের পর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ইস্টার। মার্চ মাসের একুশ তারিখ থেকে আরম্ভ করে এপ্রিল মাসের পঁচিশ তারিখ অর্থাৎ বসন্তের আগমনের এ সময়ে যে রবিবারটি ভরা পূর্ণিমার সবচেয়ে কাছের সে রবিবারটি মূলত নির্বাচন করা হয় ইস্টার উৎসব আয়োজনের অন্যতম।
এ হিসেবে এ বছরের এপ্রিলের আজকের এ রবিবারটি ইস্টার সানডে উৎসবের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। প্রত্যেক বছর ইস্টারকে ঘিরে ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরণের আয়োজন পরিলক্ষিত হয়, স্লোভেনিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ বছর সে অর্থে বলতে গেলে ইস্টারের আনুষ্ঠানিকতা নেই বললেই চলে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো স্লোভেনিয়াও প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ছোঁবল থেকে নিষ্কৃতি পায় নি। আজ স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় স্লোভেনিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত স্লোভেনিয়াতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন ১,১৮৮ জন এবং গতকাল স্লোভেনিয়াতে এ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আরও দুই জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ নিয়ে স্লোভেনিয়াতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০ এ এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৪৭ জন। সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি রাজধানী লুবলিয়ানাতে। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ক্রানিয়ে ও ছেলইয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ওয়েস্ট স্লোভেনিয়া যেটি ইতালির সীমান্তের সবচেয়ে নিকটবর্তী অঞ্চল সেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার পুরো স্লোভেনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম যা সত্যি আশ্চর্যজনক।