শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি। জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি পড়ার সুযোগ থাকায় ক্রমাগত আগ্রহহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হচ্ছে দেশটিতে। বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক সব শাখাতেই উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে জার্মানির প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জার্মানির অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষায় পাঠদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে জার্মান ভাষার ওপর কোর্স করতে হবে। আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে পড়ানো হয় তার জন্য স্কোর ৬.০ থাকতে হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি কোর্সের প্রয়োজনে না হলেও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য জার্মান ভাষা শেখা অত্যন্ত জরুরি।
জার্মানিতে বর্তমানে ৪৫০টির বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গভর্ন্যান্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অ্যাডভান্সড ম্যাটারিয়ালস, অ্যাডভান্সড অনকোলজি, কমিউনিকেশন টেকনোলজি, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফিন্যান্স, মলিকিউলার সায়েন্স, বিভিন্ন ভাষা বিষয়ে পড়াশোনা, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্সসহ প্রকৌশল ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
জার্মানে অনেক খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ পান বিদেশি শিক্ষার্থীরা। এদের জন্য সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সীমা নির্ধারণ করা থাকে। তবে গ্রীষ্মকালীন তিন মাস ছুটি, যে কেউ ফুলটাইম কাজ করতে পারেন ।
জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য ১৬টি রাজ্যের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো টিউশন ফি নেই। তবে এক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সুনির্দিষ্ট ডিগ্রি প্রোগ্রামে আবেদন করলে বিনা খরচায় পড়ার সুযোগ আছে। শুধুমাত্র আইএলটিএস ৬ স্কোর এবং একটি ব্লক এ্যাকাউন্টে ৮ হাজার ৮০০ ইউরো রাখতে পারলেই জার্মানিতে পড়াশোনা সম্ভব। ব্লক এ্যাকাউন্ট বলতে এই টাকা জার্মানিতে আসা পর্যন্ত এ্যাকাউন্ট থেকে উঠানো যাবে না এবং আসার পর প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান করে টাকা তোলা যাবে। মূলত জার্মান সরকার শিক্ষার্থীদের জীবন যাত্রার জন্য খরচ করার অর্থ নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে।
জার্মানিতে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে তার নিজ দেশের জার্মান এ্যামবাসিতে ভিসার আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশের নাগরিকরা ঢাকার জার্মান এ্যামবাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। ভিসার আবেদনপত্র দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। স্টাডি ভিসার জন্য দুটি যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় ডিক্লারেশন লেটারের অনুলিপি,২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,মূল পাসপোর্ট এবং এর ফটোকপি,যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবেন সেখান থেকে ইস্যুকৃত ভর্তির পত্র,আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র ও এর ফটোকপি (যা প্রমাণ করবে জার্মানিতে অবস্থানকালীন সময়ে আপনি আর্থিকভাবে সচ্ছল অবস্থানে থাকবেন)।
জার্মানির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও দেখতে পারেন এখানে…