বার্তাবাংলা ডেস্ক »

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে। আর বাজেট প্রণয়নে নীতিগত বিষয়সূহের উপর মতবিনিময়ের জন্য আগামী ১০ মার্চ থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে গত ২ মার্চ অতিরিক্তি সচিব (বাজেট অনুবিভাগ-১ ও ২) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বজেট প্রণয়নে কাজ চলছে। বাজেট চূড়ান্তের আগে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়নের নীতিগত বিষয়সমূহের উপর খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চান। তাই ১০ মার্চ রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সভায় দেশের থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি (বিইএফ) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদরা ছাড়াও বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, এনজিও, মন্ত্রণালয়, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে একই বিষয়ে আলোচনায় বসবেন অর্থমন্ত্রী।

জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বা সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য। সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানে। আগামী বাজেটে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে থাকছে বিশেষ পদক্ষেপ।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »